এইচ এম শহীন :কুমিল্লার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার অন্তর্গত বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা পণ্য যেমন—চিনি, বাসমতি চালের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মাদক চোরাচালান ও বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপরাধ সংঘটিত হলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।২৫ মে দৈনিক একুশে নিউজ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি এইচ এম শহীন সরেজমিন অনুসন্ধানে জানতে পারেন, এ চোরাচালান সিন্ডিকেটের মূলহোতা হিসেবে জাহাঙ্গীর মহাজন, তার ভাই জামাল মহাজন এবং পুত্র ওমর ফারুক ও মো. সাইফুল ইসলামের নাম উঠে এসেছে।স্থানীয়দের দাবি, জাহাঙ্গীর ও জামাল মহাজন দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় পণ্যের আড়ালে ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা ইত্যাদি মাদক দ্রব্যের চোরাচালান চালিয়ে আসছেন। শুধু মাদক নয়, এসব পরিবারের বিরুদ্ধে ভেজাল তেল উৎপাদনবাজারজাতকরণেরও অভিযোগ রয়েছে। সাইফুল ইসলামেরমালিকানাধীন তেলের কারখানায় বিএসটিআই অনুমোদনহীন ভেজাল সয়াবিন তেল বোতলজাত করে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ তেলের গোডাউনে ভারতীয় চিনি ও বাসমতি চালও মজুত রয়েছে, যেগুলো ‘কোহিনুর’ নামে পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের মোড়কে বাজারে ছাড়ছেন তিনি।স্থানীয় চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ জাকির, সহ এলাকার গন্যমাম্য ব্যাক্তি বর্গ গন জানান ভারতীয় এসব পণ্যে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকলেও তা প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, জরিমানা ও শাস্তির পরও সংশ্লিষ্ট চক্রের তৎপরতায় কোন বিরতি দেখা যায়নি।এদিকে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রকাশ্যে পিস্তল নিয়ে চলাফেরা, চাঁদাবাজি ও মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, চক্রটি এতটাই প্রভাবশালী যে কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়।স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, জাহাঙ্গীর মহাজন একদিকে বিএনপি নেতা দাদা কায়কোবাদ এবং অন্যদিকে স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। অতীতে তিনি বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন, যা তার অপরাধী কার্যক্রমকে আরওউৎসাহদিয়েছে।জানা গেছে, এ পরিবারের বিরুদ্ধেভারতীয় পণ্য চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা সংক্রান্তএকাধিক মামলা রয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে,রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে এসব মামলায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।স্থানীয় সচেতন মহল এবং সাধারণ জনগণ অবিলম্বে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা আরও দাবি করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন জরুরি ভিত্তিতে চোরাচালান, মাদক ও ভেজাল পণ্য ব্যবসা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন